অলিম্পিকে বিদেশি দর্শক থাকবে কিনা মার্চেই সিদ্ধান্ত

অলিম্পিকে বিদেশি দর্শক থাকবে কিনা মার্চেই সিদ্ধান্ত

টোকিও অলিম্পিকে বিদেশি দর্শক থাকবে কিনা এই নিয়ে বৈঠকে বসেছিল অলিম্পিক কমিটি। শুধু বিদেশি দর্শক নয়, জাপানের নাগরিকরাও খেলা মাঠে বসে দেখতে পারবে কিনা; এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসবে চলতি মাসের শেষে।

বুধবার (৩ মার্চ) এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন আয়োজক কমিটির প্রধান সেইকো হাসিমোতো। অ্যাথলিটদের স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকে এমন কোনো কিছু করবে না বলেও জানান তিনি। 

অলিম্পিক গেমস নিয়ে দোলাচল পুরোপুরি কেটে যায়নি। তবে এখন পর্যন্ত নিজেদের জায়গায় অনড় জাপান। করোনার মাঝেই আয়োজিত হবে স্বপ্নের টোকিও অলিম্পিক। মহাক্রীড়াযজ্ঞ গ্যালারিতে উপভোগের অপেক্ষায় ছিল সারা বিশ্বের ক্রীড়াপ্রেমীরা। এখন বোধহয় সেই আনন্দে ভাটা পড়ল।

নতুন ধরনের করোনায় চিন্তার ভাঁজ উন্নত দেশগুলোয়। বিশ্বের অনেক দেশে বহিরাগত প্রবেশে রয়েছে বাঁধা। অলিম্পিক শুরু হতে হাতে নেই মাস তিনেক। দেশের বাইরে থেকে দর্শকরা এসে কেউ যেন অ্যাথলিটদের হুমকির মুখে না ফেলতে পারেন সে জন্য আসতে পারে বিধিনিষেধ। শুধু বিদেশি সমর্থক কেন, জাপানের নাগরিকদের স্টেডিয়ামে ঢুকতে দেয়া হবে কিনা সে বিষয়েও এ মাসের শেষে আসছে।

আয়োজক কমিটির প্রধান সেইকো হাসিমোতো বলেন, করোনা পরিস্থিতি আমাদের ভাবাচ্ছে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে বিলম্ব ঘটাচ্ছে। আমরা সব বিষয়গুলো খতিয়ে দেখছি। আশা করি, এ নিয়ে এ মাসের শেষে একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারব।

আইওসি, প্যারাঅলিম্পিক্স কমিটি এবং জাপান সরকারের এ বিষয়ে দফায় দফায় বৈঠক করছেন। যেখানে দর্শকদের প্রবেশ নিয়ে ছিল সবচেয়ে বেশি আলোচনা। মজার বিষয় হচ্ছে, বেশির ভাগ জাপানি মনে করেন স্টেডিয়ামে লোক প্রবেশ করতে না দেয়াই উচিত। 

এদিকে সব অ্যাথলিট যেন করোনার ভ্যাকসিন পায়, সে বিষয়েও সিদ্ধান্ত ও কার্যকরি পদক্ষেপ নেয়ার অনুরোধ জানান আইওসি প্রেসিডেন্ট থমাস বাখ।

থমাস বাখ বলেন, টোকিওতে আসার আগেই অ্যাথলিটরা যেনো করোনা টিকা পায় সে বিষয়টিতে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি। দর্শকরা মাঠে আসলে এর সঙ্গে জড়িত আনুষঙ্গিক অনেক বিষয় নজরদারিতে রাখতে হবে। আমরা এমন কিছু করব না। যাতে আসর প্রশ্নের মুখে পড়ে।

২৪ আগস্ট প্যারা অলিম্পিকস আসর শুরু হবে টোকিতেই।

আপনি আরও পড়তে পারেন